Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা
স্থান
লাহিনীপাড়া, কুমারখালী, কুষ্টিয়া।
কিভাবে যাওয়া যায়
কুষ্টিয়া বাস স্ট্যান্ড হতে রিক্সা/অটোরিক্সাযোগে সৈয়দ মাসুদ রুমি সেতুর টোল ঘাটের পাশেই লাহিনীপাড়া মোড় নামক স্থানে, ভাড়া ৩০-৫০/-।
বিস্তারিত

বিষাদ সিন্ধুর রচয়িতা বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেনের বাস্ত্তভিটা কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়ায় অবস্থিত। এখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ছোট আকারের একটি লাইব্রেরী আছে। সম্প্রতি ১৭ অক্টোবর ২০০৮ সালে মীর মশাররফ হোসেনের নামে স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে ৫৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জেলা পরিষদ কুষ্টিয়া কর্তৃক বাস্তবায়নের জন্য একটি লাইব্রেরী ও অডিটরিয়াম এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় মন্ত্রিপরিষদ সচিব জনাব আলী ইমাম মজুমদার।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কুমারখালীর দর্শনীয় স্থান হলো কুমারখালীর লাহিনী পাড়া গ্রামে অবস্থিত উপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা। প্রতিদিন এখানে আসেন শত শত দেশী-বিদেশী পর্যটক।

১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনী পাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মীর মোয়াজ্জেম হোসেন ছিলেন জমিদার। নিজগৃহে মুনশীর নিকট আরবি ও ফারসি শেখার মাধ্যমে মশাররফ হোসেনের হাতেখড়ি হয়। পরে পাঠশালায় যেয়ে তিনি বাংলা ভাষা শেখেন। তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় কুষ্টিয়া স্কুলে। পরে তিনি কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যয়ন করে কলকাতার কালীঘাট স্কুলে ভর্তি হন কিন্ত তিনি লেখাপড়া আর বেশী দূর অগ্রসর হয়নি।

কর্ম জীবনের শুরুতে মশাররফ হোসেন পিতার জমিদারি দেখাশুনা করেন। পরে তিনি ফরিদপুর নবাব এষ্টেটের ম্যানেজারের চাকরী নেন এবং ১৮৮৫ সালে দেলদুয়ার  এষ্টেটের ম্যানেজার হন। এক সময় এ চাকরি ছেড়ে তিনি লাহিনী পাড়ায় প্রত্যাবর্তন করেন এবং পরে ভাগ্যান্বেষণে কলকাতায় গিয়ে ১৯০৩-১৯০৯ সাল পর্যন্ত অবস্থান করেন।

মশাররফ হোসেন ছাত্রাবস্থায় সংবাদ প্রভাকর ও কুমারখালী গ্রামবার্তা প্রকাশিকার মফস্বল সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন। এখানেই তাঁর সাহিত্য জীবনের শুরু। গ্রামবার্তার সম্পাদক কাঙাল হরিণাথ ছিলেন তাঁর সাহিত্য গুরু। পরবর্তীকালে তাঁর দ্বিতীয়া স্ত্রী বিবি কুলসুমও এ ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখেন। মীর মশাররফ ছিলেন বঙ্কিমযুগের অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী ও ঊনিশ শতকের বাঙালী মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ। বঙ্কিমচন্দ্রের দূর্গেশনন্দীনী প্রকাশের প্রায় চার বছর পর ১৮৬৯ সালে মশাররফের প্রথম উপন্যাস রতœবর্তী প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি একে একে কবিতা, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, আত্মজীবনী, পাঠ্যপুস্তক ইত্যাদি বিষয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেন । তার উল্লেখযোগ্য অন্যন্যা রচনা হল বিষাদ-সিন্ধু, বসন্তকুমারী, গো-জীবন, উদাসীন পথিকের মনের কথা, নিয়তি ও অবনতি, জমিদার দর্পন নাটকসহ অসংখ্যা গ্রন্থ। তাঁর অমর কীর্তি বিষাদ-সিন্ধু উপন্যাসে কারবালার বিষাদময় ঐতিহাসিক কাহিনী বিবৃত হয়েছে। তাঁর জমিদার দর্পন নাটকটি ১৮৭২-৭৩ সালে সিরাজ গঞ্জে সংঘটিত কৃষক বিদ্রোহের পটভূমিকায় রচিত হয়।